জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আল-বেরুনী হলে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ মে রাত সাড়ে বারোটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত চলে এ র্যাগিং।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান।
ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের আইন ও বিচার বিভাগের এবং আল-বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মো. সাকিব, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের এনাম, একাউন্টটিং বিভাগের আশিক। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ ব্যাচের ও একই হলের আবাসিক ছাত্র। তবে তাদের সাথে নাম না জানা আরও কয়েকজন ছিলো বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ৫০ আবর্তনের কয়েকজন শিক্ষার্থী ওইদিন মধ্যরাতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের গণরুমে প্রবেশ করে। এসময়, অভিযুক্তরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করে। এছাড়া তাদেরকে নোংরা ও বিকৃত ভঙ্গিতে পর্নোগ্রাফির মতো আচরণ করতে বাধ্য করা হয়। নির্যাতনের ফলে দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে মেঝে পড়ে যাওয়ার কথাও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তারা কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মো. জুলকারনাইন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। র্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্সে রয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তি পেতে হবে।’
অভিযোগ পত্র পাওয়ার পরপরই হল প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান।